ফ্রীতে মাস্টারকার্ড সাথে থাকছে ২৫ ডলার ফ্রী
কেমন আছেন সবাই ? আশা করি ভালো আছেন ? আমি ভাল অাছি । আপনাদের জন্য নিয়ে এলাম সব চেয়ে সহজ উপায়ে মাস্টার কার্ড পাওয়ার টিপস ।
আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে Payoneer Master Card ফ্রিতে আপনি ঘরে বসে পেতে পারেন?
তাও আবার 25 ডলার বোনাস সহ । Payoneer Master Card কি কাজে লাগে এ সর্ম্পেকে কিছু বলি প্রথমে ।
PAYONEER MASTERCARD কি কাজে লাগে এবং সুবিধা
১. এটা দিয়ে বিশ্বের মধ্যে প্রায় ২০০+ দেশ থেকে লেনদেন করতে পারবেন।
২. বিশ্বের ৯০%+ মার্কেট প্লেস এই কার্ড সাপোর্ট করে, আপনি ঐ সকল মার্কেট প্লেস থেকে ইনকাম করে এই কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট আনতে পারবেন, যেমন: upwork, freelancer, fiverr,clickbank ইত্যাদি।
৩. অধিকাংশ কাজের জন্যই পেপাল দরকার, কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে পেপাল না থাকার কারনে অনেকের পেমেন্ট আনতে ঝামেলা হয়, সেই ক্ষেত্রে Payoneer MasterCard আপনাকে অনেকটা হেল্প করবে।
৪. Payoneer থেকে সরাসরি আপনার ব্যাংকে টাকা পাঠাতে পারবেন, প্রথমে মার্কেট প্লেস থেকে সরাসরি বাংলাদেশি ব্যাংক সাপোর্ট না করলে যদি Payoneer সাপোর্ট থাকে তাহলে প্রথমে মার্কেট প্লেস থেকে Payoneer এ পেমেন্ট দিতে পারবেন, এবং Payoneer থেকে সরাসরি আপনার যে কোন বাংলাদেশি ব্যাংকে পেমেন্ট দিতে পারবেন। এতে ডলার রেট বেশি পাওয়া যায় সরাসরি মার্কেট থেকে পেমেন্টর দেয়ার তুলনায়।
৫. Payoneer থেকে বাংলাদেশে যে কোন ব্যাংকে টাকা পাঠালে বর্তমানে কোন চার্জ কাটে না, সম্পূর্ণ ফ্রি।
৬. আপনি Payoneer থেকে আপনার যে কোন ব্যাংকে টাকা তুলতে পারবেন, যেমন: ব্র্যাক, ডার্চ-বাংলা ব্যাংক, ইসলামি ব্যাংক, ইত্যাদি।
৭. চাইলে সরাসরি বাংলাদেশে যে কোন ব্যাংকের ATM booth থেকেও এই কার্ড দিয়ে টাকা তুলতে পারবেন।
৮. আবার বিশ্বের বিভিন্ন স্থান/ওয়েব সাইট থেকে বিভিন্ন জিনিস ক্রয়ও করতে পারবেন।
৯. এটাতে USD এবং EUR দুই কারেন্সিতে লেনদেন করতে পারবেন ।
এবং আরও অনেক কিছু এ বিষয়ে বিস্তারিত অন্যকোন সময় বিস্তারিত আলোচনা করব।
PAYONEER রেজিস্ট্রেশন করতে আপনার কি কি দরকার হবে ?
বর্তমানে মাস্টার কার্ড পতে আপনার যে দুইটি জিনিস লাগবে ।
১) বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকের একটি ব্যাংক একাউন্ড ।
২) NID (জাতীয় পরিচয় পত্র) অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট ।
২) NID (জাতীয় পরিচয় পত্র) অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স অথবা পাসপোর্ট ।
- ******তাহলে আর কথা না বারিয়ে কাজে চলে যাই******
এখন ধরুন আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে মাস্টার কার্ড এর জন্য আবেদন করবেন। সে ক্ষেত্রে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র এবং ব্যাংক একাউন্ড এর নাম/নামের বানান একই হতে হবে। যদি নাম/নামের বানান এক রকম না হয় তা হলে সমস্যাই হবে।
এরপরে যে ফরমটি আসবে সেই ফরমটি পূরর্ণ করুন একদম আপনার আইডি কার্ড অনুসারে, যদি আইডি না থাকে তাহলে ড্রেরাইভিং লাইন্সেস, পাসপোর্ট যে কোন একটি থাকতে হবে ।
এরপর নিচের ছবির একটি ফর্ম দেখাবে। যেখানে আপনার নাম, ই-মেইল এবং জন্মতারিখ দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে ।
এরপর নিচের ছবির একটি ফর্ম দেখাবে। যেখানে আপনার নাম, ই-মেইল এবং জন্মতারিখ দিয়ে ফর্মটি পূরণ করতে হবে ।
এরপর আপনার ইচ্ছেমত একটি সিকিউরিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। এই প্রশ্ন এবং উত্তরটি মনে রাখতে হবে । পরবর্তীতে পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের সময় বা কাস্টমার সাপোর্ট পেতে এটি প্রয়োজন হবে ।
এরপর “NEXT” বাটনে ক্লিক করে পরবর্তী পেইজে যেতে হবে ।
এই পেইজে আপনার ব্যাংকের অ্যাকাউন্টের তথ্য দিতে হবে। সব তথ্য দিয়ে “Submit”বাটনে ক্লিক করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে নিচের ছবির মত একটি পেইজ দেখাবে।
আপনার অ্যাপ্লিকেশনটি রিভিউ করে সব ঠিক থাকলে আপনার কাছে নিচের ছবির মত একটি নিশ্চিতকরণ মেইল পাঠানো হবে। এই মেইল আসতে একটু দেরিও হতে পারে।
“Get Started” বাটনে ক্লিক করে পেওনিয়ার ওয়েবসাইটে লগিন করুন আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে।
লগিন করার পর প্রথম পাতায়ই চারটি অপশন দেখতে পাবেন। যেগুলোর একটি হবে “Order a Payoneer Prepaid Mastercard”
এই অপশনটিকে ক্লিক করলে একটি পেইজে পাঠানো হবে যেখানে আপনাকে ন্যাশনাল আইডি বা পাসপোর্ট স্ক্যান করে (ছবি তুলে দিলেও হবে) আপলোড করতে হবে এবং কোন ঠিকানায় আপনি কার্ডটি আনতে চান সেই ঠিকানা দিতে হবে। ঠিকানা দেয়ার সময় তাই সাবধানে দেয়া উচিত, বিশেষ করে পোস্টাল কোড দেয়ার সময়। সব কিছু করা হয়ে গেলে আপনাকে নিচের ছবির মত একটি Approved মেইল পাঠানো হবে।
এই মেইল পাওয়ার ১৫-২০ দিনের মধ্যে নিচের ছবির মত একটি মাস্টারকার্ড চলে আসে নির্দিষ্ট ঠিকানায়।
কার্ড হাতে পাওয়ার পর প্রথমেই কার্ড অ্যাকটিভ করতে হবে। পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট লগিন করলে নিচের ছবির মত কার্ড অ্যাক্টিভ করার অপশন পাবেন।
অ্যাকটিভ বাটনে ক্লিক করলে নিচের ছবির মত একটি পেইজ পাবেন। যেখানে তিনটি খালি বক্স দেখতে পাবেন। প্রথম বক্সে কার্ডের ওপর থাকা ১৬ ডিজিটের কার্ড নম্বরটি দিতে হবে। পরের খালি বক্স দু’টিতে আপনার ইচ্ছে মত ৪ ডিজিটের একটি পিন নম্বর দিতে হবে। পিন দিয়ে অ্যাকটিভ বাটনে ক্লিক করলে আপনার কার্ডটি অ্যাকটিভ হয়ে যাবে।
কার্ড অ্যাকটিভ হয়ে গেলে নিচের ছবির মত একটি মেইল পাবেন।
ব্যাস আপনার কার্ডটি এখন ব্যবহারের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। কিন্তু কথা হল এখন কার্ডে ডলার লোড করব কিভাবে? প্রথমবার কোন মার্কেটপ্লেস থেকে লোড নিতে হবে বা আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
কমেন্ট বক্সে যোগাযোগ বা ফেজবুকে এসএমএস দিতে পারেন ।
পেওনিয়ার কার্ড ব্যবহার করছে এমন যে কারো কাছ থেকে ১০০ ডলার পেমেন্ট নিয়ে নিন। ব্যাস… আপনি এখন আপনার কার্ড দিয়ে পেমেন্ট থেকে শুরু করে সব কিছু করতে পারবেন।
অন্য কার্ড থেকে ডলার নেয়া বা ডলার দেয়ার আরেকটি পথ হচ্ছে পেমেন্ট রিকোয়েস্ট । পেমেন্ট রিকোয়েস্ট করে কার্ড পাওয়ার দিন থেকেই আপনি ডলার দেয়া নেয়া করতে পারবেন । কিন্তু এভাবে লেনদেনে কিছুটা সময় লাগে ।
ধন্যবাদ সবাইকে কোন কিছু জানার থাকলে ফেজবুকে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ।
0 comments:
Post a Comment